এবারের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১৬৪ প্রার্থীরই বার্ষিক আয় এক কোটি টাকার ওপরে। আর ১০০ কোটির টাকার বেশি সম্পদের মালিক ১৮ জন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ কার্যালয়ে 'নির্বাচনী হলফনামায় তথ্যচিত্র, জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নিবাচনে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যচিত্র তুলে ধরেন টিআইবির তিন সদস্যের গবেষণা দলের প্রধান তৌহিদুল ইসলাম। অন্য দুই সদস্য ছিলেন রিফাত রহমান ও রফিকুল ইসলাম।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ১,৮৯৬ জন। যার মধ্যে ১৮% স্বতন্ত্র আর ৮২% প্রার্থী দলীয় টিকেটে। ৯৪.৯% প্রার্থী পুরুষ আর নারী প্রার্থী ৫.২৪%। ৫৭% প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ৫৭% প্রার্থীর মূল পেশা ব্যবসা। আর আইন ও ব্যবসায়কে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন আইন ও কৃষিকাজ হিসেবে দেখিয়েছেন ৭.৮১%। আর রাজনীতিকে পেশা দেখিয়েছেন ২.৮৬%।”
“স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮০ জন। কোটিপতি প্রার্থীর মধ্যে ২৩৫ জন আওয়ামী লীগের, ১৬৩ জন স্বতন্ত্র, ৪৭ জন জাপার, ১৭ জন জেপির, ৭ জন জাসদের, ৬ জন তৃণমূল বিএনপির, ৫ জন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, টিআইবির চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল প্রমুখ।